ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ইশরাকসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুবলীগকর্মীও আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২২
ইশরাকসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুবলীগকর্মীও আসামি সংগৃহীত ছবি।

বরিশাল: গণসমাবেশে যাওয়ার পথে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহর থামিয়ে বরিশালের গৌরনদীর মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে বসে যুবলীগ নেতাকর্মীদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে।  

এ মামলায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফারুক সিকদার ও সজীব চোকদার নামে স্থানীয় যুবলীগের দুই কর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



ফারুক সিকদার ও সজীব চোকদারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মামলার বাদী মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাসেল রাঢ়ীর সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদেরকে আসামি করা হয়েছে।

ফারুক সিকদার ও সজীব চোকদার বলেন, ৪ নভেম্বর রাতে মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিই। ৫ নভেম্বর সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহর থামিয়ে মাহিলাড়া এলাকায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত ও অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ী। পরে জানতে পারি, বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মামলায় আমাদেরও আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী রাসেল রাঢ়ীর দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আসামি করা হয়েছে। তারা কেউই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিকদার মহসিন সেন্টু সাংবাদিকদের জানান, ফারুক ও সজীব যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে থাকেন। যদিও কী কারণে তাদের ওই মামলায় জড়ানো হয়েছে সেটি তারা জানেন না।  

এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদীর সঙ্গে সাংবাদিকদের যোগাযোগ করার পরামর্শও দেন তিনি।

এদিকে গৌরনদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও মামলার আসামি মনির হোসেন আকন জানিয়েছেন, দুই যুবলীগ কর্মীকে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জড়ানো হয়েছে, সেটি তারাও শুনছেন।

তিনি বলেন, মামলার বাদী রাসেল রাঢ়ী সরকারি কর্মচারী। তিনি আগৈলঝাড়া ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তাহলে তিনি কীভাবে বিএনপি-যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মামলা দেন সেটাই বুঝতে পারছি না। যদিও তিনি সম্প্রতি কারাবরণ করায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। এছাড়া একই কারণে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিচ্ছিন্ন তাই এখন সরকারি কর্মচারী দিয়েও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, মামলায় এজারভুক্ত ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তে কোনো আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তাকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান তিনি।

এর আগে, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে ৫ নভেম্বর সকালে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার জবাবে বহরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৭০ জনের নামোল্লেখসহ আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনাপরিচয় আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারের ২১ নম্বরে যুবলীগ কর্মী ফারুক সিকদার ও ২২ নম্বরে সজীব চোকদারের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।