ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শোকদিবসের আলোচনা সভা শেষে সংঘর্ষ, ৮ ছাত্রলীগ কর্মী সাময়িক বহিষ্কার

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
শোকদিবসের আলোচনা সভা শেষে সংঘর্ষ, ৮ ছাত্রলীগ কর্মী সাময়িক বহিষ্কার

ইবি: শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আট কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব্বির খান (জিয়াউর রহমান হল শাখা), শামীম রেজা (জিয়াউর রহমান হল শাখা),  আশিক কুরাইশী (শেখ রাসেল হল শাখা), আকিব মাসুদ অনুভব (জিয়াউর রহমান হল শাখা), শাহদুল্লাহ সিদ্দিকী সাইমুন (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা), পারভেজ হোসেন বানাত (জিয়াউর রহমান হল শাখা), আব্দুল কাদের (জিয়াউর রহমান হল শাখা), তাসিন আজাদকে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আবেদন করা হলো।

জানা যায়, জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে রোববার (২০ আগস্ট) আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির কিছুক্ষণ আগেই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভার মিলনায়তনে ঢুকতে গিয়ে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শামীম এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শেখ রাসেল হলের আশিক কোরাইশির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।  

এ ঘটনার জেরে আলোচনা সভা শেষে মিলনায়তনের বাইরে এসে আবার উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জিয়া হল ও রাসেল হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু হল ও লালন শাহ হলের ছাত্রলীগ কর্মীরাও জড়িয়ে পড়েন। এসময় লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী আলাল ইবনে জয় (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত) এবং তার সঙ্গীরা জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর চড়াও হন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা গেছে। এসময় ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মুফতাঈন আহমেদ সাবিককে ছুরিকাঘাত করেন বলে জানা গেছে। পরে আহত সাবিককে ইবি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।