কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): ভারতের ওড়িশার বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) তদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছেন, সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে কেন্দ্র সরকার রেল দুর্ঘটনার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে দিচ্ছে।
পাশপাশি রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভা ও মন্ত্রীর দফতরে যেভাবে সিবিআই হানা হয়েছে তা আদতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার (৭ জুন) কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার হতাহতদের পরিজনদের সরকারি সহায়তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চেই সিবিআইয়ের রেল দুর্ঘটনার তদন্ত ও কলকাতায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা। কেন দুর্ঘটনা? কেন এত লোক মারা গেল? ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিবিআই কী করবে? সিবিআই দিয়ে সব সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতায় সিবিআই পাঠিয়েছে। ১৮টা পুরসভায় হানা দিয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতরেও ঢুকে পড়েছে। এবার কী বাথরুমেও ঢুকবে? এসব করে সত্য ধামা চাপা দেওয়া যাবে না।
দিনি সতর্ক করে বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে যদি পুরসভার পানি, কল দেখতে দেওয়া হয় তাহলে আগামী দিন ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৬ জুন) ওড়িশার বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করছে সিবিআই। যা নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন পশ্চিমবেঙ্গর মুখ্যমন্ত্রী। তবে, একইভাবে বুধবার (৭ জুন) কলকাতায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ এদিন ১৮টি পুরসভা ও মন্ত্রীর দফতরে তল্লাশি চালিচ্ছে তারা। একযোগে পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি পুরসভায় হানা দেয় সিবিআই। বুধবার (৭ জুন) সকাল থেকে ম্যারাথন এ তল্লাশি এখনও চালাচ্ছো তারা। রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি, কামারহাটি, দমদম, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, চুঁচুড়া, হালিশহর, শান্তিপুরসহ ১৮টি পুরসভায় অভিযানে চালাচ্ছে সিবিআই। এছাড়া সল্টলেকের নগোরন্নয়ন ভবনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মত পুরসভার দুর্নীতি সামনে আসছে। তদন্তকারী সংস্থাটির মতে, ৫ হাজার অবৈধ নিয়োগ হয়েছে পুরসভাতেও। সে কারণেই এই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এ প্রসঙ্গেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড