কিংস্টোন: সন্দেহভাজন আন্তর্জাতিক মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানি ক্রিস্টোফার কোক ওরফে ‘ডুডুস’কে জ্যামাইকার রাজধানী কিংসটোনের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী ডেরিল ভাজ বিবিসিকে জানান, কুখ্যাত ‘শাওয়ার পসি’ চক্রের প্রধান ৪১ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার কোককে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেফতারের পর একটি পুলিশ স্টেশনে অন্তরীন রাখা হয়েছে।
অপরদিকে রয়টার্সকে জ্যামাইকা পুলিশ জানিয়েছে সেন্ট ক্যাথারিন প্যারিশ-এর পোর্টমোর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান ছাড়াও শাওয়ার পসি তথা ক্রিস্টোফারের বিরুদ্ধে জ্যামাইকা ও যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্যা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে শাওয়ার পসি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ও মাদক পাচারের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক।
জানা গেছে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মামলায় বিচারের সম্মুখীন করতে কোককে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত মে মাসে ক্রিস্টোফার কোককে গ্রেফতারে রাজধানী কিংস্টোনে রীতিমত জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। তখন এক অভিযানে ডুডুসের শক্তঘাঁটি কিংস্টোনের টিভোলি গার্ডেন এলাকায় পুলিশ ও মাদক চোরাকারবারীদের বন্দুকযুদ্ধে সাধারণ মানুষসহ উভয়পক্ষে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়।
ক্রিস্টোফার ডুডুস জ্যামাইকার কুখ্যাত মাদক সম্রাট লেস্টার লয়েড কোকের ছেলে।
কঠোর নিরাপত্তা
জ্যামাইকা অবজারভার পত্রিকা জানিয়েছে আত্মসমর্পণের জন্য আল মিলার নামে একজন ধর্মযাজকের সঙ্গে পুলিশ স্টেশনে আসেন কোক। ওই ধর্মযাজক কিছুদিন আগে ক্রিস্টোফারের ভাই লেইটন কোক ওরফে লিভিটি’র আত্মসমর্পণে মধ্যস্থতা করেছিলেন।
পত্রিকাটির ওয়েব সংস্করণ জানায়, যে পুলিশ স্টেশনে ডুডুসকে বন্দি রাখা হয়েছে, সৈন্যরা তা ঘিরে রেখেছে।
বিবিসি ওয়াল্ড টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তথ্যমন্ত্রী ডেরিল ভাজ বলেন, বুধবার বিকেলে ক্রিস্টোফার ডুডুসকে একটি পুলিশ স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার সঙ্গে একজন ধর্মযাজক ছিলেন। ওই পাদ্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে কথা বলতে কোককে নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১০:০৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১০
/একে/জেএম