ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙতেই হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙতেই হবে

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-১-এ অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ৩০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন সোমবার খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।

আদালতে রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আবেদকারী জিয়া আমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম। হাইকোর্টে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।

পরে  মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের আদেশ ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনকে ৩০ দিনের মধ্যে ভাঙতে হবে। এর বিরুদ্ধে বানীচিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেড ও চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেডের একজন পরিচালক এটার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান। যেটি সোমবার খারিজ হয়ে যায়। ফলে হাইকোর্টের ৩০ দিনের ভাঙার নির্দেশ বহাল রইলো।  

এর আগে গত মাসে দুই প্রতিষ্ঠানের করা রিটে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে এই শপিং সেন্টারের লিজ গ্রহীতাদের আমমোক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের নিজ দায়িত্বে তা ভেঙে অপসারণ করতে বলা হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জিয়া আমিন।

হাইকোর্টের রায়ের পর আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছিলে, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সিলগালা অবস্থায় রয়েছে গুলশান শপিং সেন্টার। এই শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে বানীচিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেড ও চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।

গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এরপর সিলগালা খুলে ভাঙার অনুমতি চেয়ে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয় মালিকপক্ষ। তাতে সাড়া না পেয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
ইএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।