ঢাকা: ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ফুয়াদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
গত ২৭ জুন ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন ইডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রী।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ বাদীর জবানবন্দি নিয়ে তার এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে এজাহার থেকে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইডেনে কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখানে তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন জানিয়ে এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরিয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন।
এরপর ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাদী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য ফুয়াদকে চাপ দিলে তিনি ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষে তা সম্পন্নের আশ্বাস দেন। ওই বছর ছাত্রলীগের সম্মেলনে ফুয়াদ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, আসামি আরেকজনকে বিয়ে করেছেন।
গত ৩ জানুয়ারি ফের ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ধর্ষণ করলে ফুয়াদকে বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দেন বাদী। তখন তাকে মারধর করে বাসা থেকে ফুয়াদ বের করে দেন বলে এজাহারে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ
