ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সমঝোতায় গত বছরে আদায় দু্ই কোটি টাকা

ইলিয়াস সরকার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
সমঝোতায় গত বছরে আদায় দু্ই কোটি টাকা

ঢাকা: বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ২০১৬ সালে দুই কোটি এক লাখ ৫১ হাজার সাতশ’ টাকা আদায় করে দিয়েছে ‘জাতীয় আইনগত প্রদান সহায়তা সংস্থা’।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক  মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি সংস্থাটি  বিনামূল্যে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে এক বছরে এ টাকা আদায় করে।  

২০১৫ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান (আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়নের পর এ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনি পরামর্শ ও নিষ্পত্তির আওতায় পরিচালিত মীমাংসা ও মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালে এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তিকৃত মামলা বিরোধে আদায় করা মোট অর্থের পরিমাণ দুই কোটি এক লাখ ৫১ হাজার সাতশ’ টাকা।

২০১৬ সালে প্রি-কেইস স্টেজে বিরোধের সংখ্যা ২ হাজার ২২৭টি। আর পোস্ট কেইস স্টেজে বিরোধের সংখ্যা ছিলো ৩৩৩টি। এর মধ্যে প্রি-কেইস স্টেজের ১ হাজার ৮০৮টি ও পোস্ট কেইস স্টেজের ২৭০টি বিরোধের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রি-কেইস স্টেজে আদায় হয়েছে এক কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার আটশ’ টাকা। পোস্ট কেইস স্টেজে আদায় হয়েছে ৪৮ লাখ ৫৯ হাজার নয়শ’ টাকা।  
জাতীয় আইনগত প্রদান সহায়তা সংস্থার সহকারী পরিচালক  (সিনিয়র সহকারী জজ)  কাজী ইয়াসিন হাবিব বাংলানিউজকে  বলেন, ‘প্রচলিত নিয়মে কারো বিরুদ্ধে মামলা করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন সময় লাগতো। আর এতে খরচ হতো বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময়। কিন্তু  উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে আমরা কোনো খরচ ছাড়াই ক্ষতিগ্রস্তকে টাকা আদায় করে দিচ্ছি।  এতে বিশাল মামলাজটে নতুন মামলাও যোগ হচ্ছে না। পাশাপাশি হয়রানির হাত থেকে বাঁচছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি’।  

দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে সরকার।

এ আইনের আওতায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

সরকার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। বর্তমানে সরকার দ্রুততম সময়ে বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার আওতায় প্রতিষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ পদ্ধতি প্রয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।