ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুর স্কুলছাত্রী খুন: বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
গাজীপুর স্কুলছাত্রী খুন: বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন

ঢাকা: গাজীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামির ফৌজদারি আপিল খারিজ এবং জেল আপিল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩০ মার্চ) রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ারের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুদ্দিন মাহমুদ ও বেগম লুৎফুন্নেসা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহম্মেদ হিরু।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ছাত্রের নাম বিক্রম চন্দ্র সরকার ওরফে বিজয় সরকার (২৫)। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ছোট কাঞ্চনপুর এলাকার রামপদ মনি দাসের ছেলে এবং সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ-এর ছাত্র ছিলেন।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন রামরাবন এলাকার সাগর চন্দ্র মনি দাসের মেয়ে কবিতা মনি দাস (১৪) কালিয়াকৈরের বোর্ডঘর উত্তর গজারিয়া এলাকার জনতা বিজয় স্মরণী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। মা-বাবা সাভারের এনাম মেডিক্যালে চাকরি করার সুবাদে কবিতা কালিয়াকৈরে কাঞ্চনপুর এলাকায় তার নানার বাড়ি থেকে ওই স্কুলে লেখাপড়া করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে কবিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই বিরক্ত করতো স্থানীয় যুবক বিক্রম। কিন্তু কবিতা বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। এ ঘটনা বিক্রমের বাবা-মাকে জানালে বিক্রম ক্ষুব্ধ হয়।  

পরে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দুপুরে টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কবিতা বাসা থেকে স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুলে প্রবেশের আগে গেটের সামনে বিক্রম চাকু দিয়ে কবিতার বুকে, পেটে ও হাতে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। কবিতার চিৎকারে শিক্ষক ও সহপাঠীরা এগিয়ে এসে বিক্রমকে আটক করে এবং আহত কবিতাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামালা দায়ের করেন।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৯ জুন গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক বিক্রমের মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

রায়ের পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহম্মেদ হিরু জানান, চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকায় এবং আসামির বয়স বিবেচনায় তার দণ্ড কমে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
ইএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।