ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুরে নারী পোশাক শ্রমিক খুন: ৪ জনের যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
গাজীপুরে নারী পোশাক শ্রমিক খুন: ৪ জনের যাবজ্জীবন ...

ঢাকা: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পোশাক শ্রমিক রুপালী খাতুনকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই জনের সাজা বহাল রেখেছেন।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ ও বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড সংশোধন করে বুধবার (৩০ মার্চ) এ রায় দেন বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী মুক্তি রানী কুণ্ডু, মো. শফিকুল ইসলাম রিপন, মো. শহিদুল ইসলাম খান। পলাতক এক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহনাজ হক।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার বরমী কাদীরাপাড়ার আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৩২) ও একই এলাকার হাছেন আলীর ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (২৫)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই এলাকার ছবুর উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৬) ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. মোখলেছ মিয়া (২১)।

নিহত রুপালী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মারিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্রীপুরে বাসা ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন রুপালী। ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা তাকে শ্রীপুরের গিলাশ্বর এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিম্মি করে তার বাবার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় রুপালীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট গাজীপুরের দায়রা জজ আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে কেন দুই জনের সাজা কমানো হলো তা জানা যাবে। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা গেছে চার আসামির সম্পৃক্ততা সমান। তাই যদি হয় তবে দণ্ড বা সাজা দুই রকম হতে পারে না। এ কারণেই হয়তো আদালত দুই জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডের দুজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
ইএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।