ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় ফয়জুলের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় ফয়জুলের যাবজ্জীবন

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়েজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় দেন।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফয়জুল হাসানের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় গত ১০ মার্চ। ২২ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আদালতের বিচারক।

তিনি বলেন, মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়। মামলায় ফয়জুলসহ ছয় আসামির সবাই কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন জামিনে থাকলেও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবাল ছুরিকাহত হন। মাদ্রাসাছাত্র ফয়জুল হাসান ছুরি দিয়ে তার মাথা ও ঘাড়ে উপুর্যপরি আঘাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেনাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।

পরে জাফর ইকবালকে আহত অবস্থায় প্রথমে নগরের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে পরদিন এসএমপির জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফয়জুলসহ ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। অভিযুক্তরা হলেন- ফয়জুল, তার বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।

আদালত সূত্র জানায়, ওই বছরের ৪ অক্টোবর আসামিদের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২, আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।