ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

খুলনা: গুদামজাত পাটের বিপরীতে ব্যাংক ঋণের ১২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মাহমুদা খাতুন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেন বুলবুল করোনায় মারা গেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমানসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, সোনালী ব্যাংক থেকে ২০১০ সালের পর সিসি প্লেজ ও সিসি হাইপো খাতে দফায় দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মেসার্স সোনালী জুট মিল। কিন্তু এর বিপরীতে মালামাল ক্রয় না করে ওই টাকা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন, যা বর্তমানে সুদাসলে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। মামলা নং- ৬ (২২/০২/২০১৭)।

মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেন বুলবুল, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং জুট মিলস, হিমায়িত মৎস্য ও বিবিধ ঋণ বিভাগের ইনচার্জ শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার প্রাক্তন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমআরএম/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।