ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ন্যায়বিচার চাইলেন ডা. সাবরিনাসহ ৮ আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
ন্যায়বিচার চাইলেন ডা. সাবরিনাসহ ৮ আসামি ডা. সাবরিনা

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা মামলায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ আসামি। বুধবার (১১ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে এ দাবি জানান তারা।

এদিন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরী লিখিত বক্তব্য জমা দেন। এরপর আগামী ২৫ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিএমএম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল প্রতারণা মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভূক্ত ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট এ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এরপর একই বছর ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।

জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি তারা সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করতেন। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি নেওয়া হতো ১০০ ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।