ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চেক জালিয়াতি মামলা

ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ফাইল ছবি

সাভার (ঢাকা): আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধামরাইয়ের এক গ্রাহকের করা চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ।

এর আগে সোমবার (১৬ মে) দুপুরের দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন বলে জানান তিনি।

মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও অ্যাডমিন মো. হাসান।

এ বিষয়ে জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ বাংলানিউজকে বলেন, ইভ্যালির এমডি মো. রাসেলের স্বাক্ষরিত ১৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকার দুটি চেক পান আহাদ। চেক দু’টি নগদায়নের জন্য ধামরাই উপজেলার কালামপুর শাখার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডে উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট ক্লোজ/ব্লক উল্লেখ করে চেক দুটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফেরত দেন।  

আসামিদের টাকা ৩০ দিনের ভেতর পরিশোধ করার জন্য লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই নোটিসের কোনো উত্তর তারা দেননি এবং টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপও নেননি। পরে মামলা হলে আদালত বিচার বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি ইভ্যালি থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল ক্রয় করি ১৪ লাখ টাকা দিয়ে। সেই মোটরসাইকেলের মূল্য ১৪ লাখ টাকা পরিশোধের ৪৫ দিনের মধ্যে আমাকে পাঁচটি মোটরসাইকেল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। পরে মোটরসাইকেল নেই বলে পাঁচটি মোটরসাইকেল মূল্যের ২৫ লাখ টাকার চেক দেয় ইভ্যালি। কিন্তু সেই চেক খালি পাই।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এসএফ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।