ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোরীকে পাচার মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
কিশোরীকে পাচার মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনা: ভালো বেতনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে খুলনায় স্বামী ও স্ত্রী দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন- খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার ভাড়াটিয়া মো. শাহীন শেখ ও তার স্ত্রী আছমা বেগম ওরফে সালমা।

রায় ঘোষণাকালে আসামীরা পলাতক ছিলেন।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এই রায় দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ (১) ধারায় আসামীদের সাজা দেওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ২০০৯ সালে নগরীর খানজাহান আলী থানার বিআইটি রোডের আজিজুল ইসলামের মেয়ে সাথীকে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আসামীরা ভারতে পাচার করে। সেখানে অনৈতিক কাজের জন্য তাকে বিক্রি করা হয়। ঘটনা জানার পর মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামীরা ক্ষতিপূরণ বাবদ তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাথীর মা লাকি বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ (১) ধারায় খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। মামলা নং- জি.আর. ১৪৬৯/০৯।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ জানান, মামলায় মোট আট জন সাক্ষী দেন। এ মামলার শুনানিতে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এমআরএম/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।