ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দিনাজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
দিনাজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন আসামিরা।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হুমায়ুন নামে এক দোকানিকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দিনাজপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-(২) এর বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডল সোমবার (২৩ মে) বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

আসামিদরে মধ্যে- ফুলবাড়ী উপজেলার গরপিংলাই গ্রামের তাসের উদ্দিনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪৩), আজাহার আলীর ছেলে রেজাউল করিম বাবু (৪৮) ও আতোয়ার ওরফে আতর আলীকে (৫১) মৃত্যুদণ্ড। এবং অপর আসামি আতোয়ার আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী (৪৪) ও একরামুল হক (৫১), সাঈদ আলী (৫৮) ও ইদ্রীস আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অপর এক ধারায় আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সহকারী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল বলেন, মামলায় বাদীসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। রাষ্ট্রপক্ষের রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি।  

তিনি আরও বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে জয়নগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুমায়ুনকে তুলে নিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার গরপিংলাই গ্রামের সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী একই এলাকার আজাহার আলীর মেয়ে নারগিস নারী নির্যাতনের মামলা করেন। গত ২০০৯ সালের ২ আগস্ট ওই মামলার রায়ে সাইফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এই মামলা চলাকালে সাইফুল ইসলাম তার জমি-জমা তার বড় ভাই শহীদুল ইসলামের ছেলে তোহিউল ইসলাম বাবু ও হুমায়ুন কবীরের নামে লিখে দেয়।

মামলার রায়ের ১৮ দিন পর সন্ধ্যায় হুমাযুন কবীর তার মুদি দোকান থেকে বের হয়ে জয়নগর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরের দিন এমআইবি নামক ইটভাটার সামনে ইটের স্তুপের নিচে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের দিনই নিহতের বড় ভাই তৌহিউল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই হুমায়ুন কবীরকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় দীর্ঘ ১৩ বছর শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের পর আদালত এ রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।