ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কর্মীদের পাওনা পরিশোধ করছেন ইউনূস: সব মামলা প্রত্যাহার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
কর্মীদের পাওনা পরিশোধ করছেন ইউনূস: সব মামলা প্রত্যাহার

ঢাকা: শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা আইন অনুসারে পরিশোধে সমঝোতার পর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শতাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আর এ পাওনা অর্থের পরিমাণ সাড়ে তিনশ থেকে চারশ কোটি মতো।

 

এর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা এক মামলা সোমবার (২৩ মে) হাইকোর্টে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

শ্রমিক-কর্মচারীদের করা প্রত্যাহার আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের একক বেঞ্চ আদেশ দেন।   

আদালতে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।  

ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫ শতাংশ শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ ২০০৬ সাল থেকে তা শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা। কিন্তু সেই লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন না করায় শ্রম আদালত ও হাইকোর্টে মামলা করেন তারা। আর গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।  

আদালতের বাইরে উভয়পক্ষের সমঝোতা হয়েছে উল্লেখ করে আইনজীবী ইউসুফ আলী জানান, সম্প্রতি গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা দাবি নিয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতা হয়েছে। মালিকপক্ষ গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, আইন অনুযায়ী যত পাওনা তা পরিশোধ করা হবে। দুই পক্ষই হিসাব-নিকাশে বসেছে। আশা করা যায় কাল অথবা পরশু পাওনার চূড়ান্ত হিসাবে সমঝোতা হয়ে যাবে।  

এ কারণে আবেদনকারীরা বলেছেন যে, তারা মামলাটি আর চালাতে চান না তাই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, শ্রম আদালত ও উচ্চ আদালত মিলিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা করা হয়েছিল। শ্রম আদালতে ১০৪টি ও ৭টি উচ্চ আদালতে করা হয়েছে। উচ্চ আদালতেরগুলো করেছে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন। আর শ্রম আদালতের ১০৩টিই শ্রমিক-কর্মচারীদের পৃথক মামলা। বাকী একটি মামলা ইউনিয়নের।  

আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড অনুযায়ী তাদের যে টাকাটা প্রাপ্য সেই টাকাটা তাদের দেওয়া হচ্ছে না। এমন বিরোধ থেকে বেশ কয়েকটি মামলার উৎপত্তি হয়। এসব মামলাগুলোর মধ্যে হাইকোর্টে গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা মামলাটিও ছিল। আদালতের বাইরে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় এ মামলাগুলোর ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের একটা অঙ্কের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।