ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নৌকার প্রার্থিতা বৈধ, ঝিনাইদহে পৌর নির্বাচন করার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
নৌকার প্রার্থিতা বৈধ, ঝিনাইদহে পৌর নির্বাচন করার নির্দেশ

ঢাকা: গত ১২ জুন স্থগিত হওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন ৬০ দিনের মধ্যে করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত।

ফলে নির্বাচনে আব্দুল খালেক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আব্দুল খালেকের করা রিট আবেদনে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রায় দেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ২ জুন প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর নির্বাচনী অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে গত ৮ জুন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

এরপর গত ১৫ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১২ জুন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো.রাসেল চৌধুরী।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আর নৌকার প্রার্থী প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে গত ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক ও তার সমর্থকরা মিছিল-শোভাযাত্রা করে ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন, যা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

আব্দুল খালেক অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়ায় আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। একজন নির্বাচন কমিশনার গত ২৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণ মেনে চলার বিষয়ে মৌখিক অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। এ সত্ত্বেও আব্দুল খালেকের সমর্থকরা গত ১ জুন অপর প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী ও তার সমর্থকদের আক্রমণ করে আহত করেন, যা বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে প্রকাশ পায়।

উল্লেখিত কার্যক্রম পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর লঙ্ঘন একাধিকবার হয়েছে এবং উল্লেখিত ঘটনাসমূহ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। আব্দুল খালেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করলো।

নির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম ও হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।