ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘জেলে বসে ২০০৭-এ লিখে রেখেছিলাম ২০২১-এ কী কী করব’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
‘জেলে বসে ২০০৭-এ লিখে রেখেছিলাম ২০২১-এ কী কী করব’ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জেলে থাকা অবস্থায় দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনাগুলো লিখে রেখেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। ২০০৭-এ যখন জেলে ছিলাম, তখন ওখানে লিখে রেখেছিলাম ২০২১ সালে কী কী করব।

 

তিনি বলেন, ২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে কীভাবে উন্নত করব, ২০০৮-এর নির্বাচনী ইশতেহারে সেটাকে সংযুক্ত শেষে আরও উন্নত মানের করে সেই টার্গেট অর্জন করেছি।

রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে পূর্বাচলে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার টার্গেট এর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন লক্ষ্য ২০৪১ সাল। ৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ শুধু মুখে বলা না, যেমন স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। দ্বিতীয়টি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রত্যেকেই ডিজিটাল ডিভাইসে দক্ষ হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট বিজনেস, স্মার্ট হেলথ, স্মার্ট এডুকেশন।  

তিনি বলেন, আমাদের গভর্ন্যান্স হবে গভর্ন্যান্স স্মার্ট। এভাবেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ব।  

মেলা উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ‘২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩’।

এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন।  

মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে; গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাণিজ্য মেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। এবার মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত এ মেলা বসছে পূর্বাচলে। এর আগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে এক বছর মেলা হয়নি।

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো পূর্বাচলের এ স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবার বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হয়। একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো এবারো শাটল বাস সার্ভিস রয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলাকালীন এসব বাস চলাচল করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।