ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লাবলু ও শামসের নামে করা মামলা প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লাবলু ও শামসের নামে করা মামলা প্রত্যাহার দাবি

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলু ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জান শামসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকায় কর্মরত মানিকগঞ্জ সাংবাদিক পরিবার।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্ত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ, অর্থ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, সিনিয়র সাংবাদিক দুলাল খান, বিডিনিউজ২৪ ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম মুজতবা ধ্রুব, সিনিয়র সাংবাদিক খন্দকার হানিফ রাজা, দেওয়ান মাসুদা সুলতানাসহ অন্য্যরা।

সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন মাধ্যমে সরকার সংবিধানের সঙ্গে একটি সাংঘর্ষিক বিধান চলতে পারে না। এই কালো আইন বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন কেন। সাংবাদিক সব তথ্য প্রমাণ হাতে রেখে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে অপরাধের পেছনের অপরাধী ব্যক্তিরা যেনো বেরিয়ে না আসে এই ভয়েই মামলা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, মামলা প্রত্যাহার করে যারা দুর্নীতিবাজ ও অপরাধী তাদের শাস্তি হোক।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সংবাদপত্র বিকশিত হয়েছে কিন্তু তার সময়ে সাংবাদিকরা কিভাবে হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যারা খর্ব করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব হলেও তার আশপাশে থাকা চাটুকার ও স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদেরই প্ররোচনায় সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাছাড়াও সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছিলেন, এই নিপীড়নমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রতিনিয়ত এই কালো আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে এই কালো আইনে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলু ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানি ও নিপীড়নমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার বিষফোঁড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে সাংবাদিকদের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা জরুরি। দেশ ও দেশের মানুষের তথ্য জানার ও জানানোর অধিকার সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
এসজেএ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।