ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলন দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
আন্দোলন দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: শেখ হাসিনা

ঢাকা: আন্দোলন দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটু আন্দোলন সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না; ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে… যারা আন্দোলন করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, তাদের জ্বালাও পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনই মেনে নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম যাই করুক তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনও কেটে যায়নি। কিন্তু সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেখ হাসিনা বলেন, কারও মুখ গোমরা আমি দেখতে চাই না। সবাইকে হাসিখুশি দেখতে চাই। যেটুকু মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, কিন্তু সেটা অতিক্রম করার মতো মনোবল দরকার হয়। শক্তি দরকার হয়। সেই শক্তি নিয়ে চললে বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ এগিয়ে যাবে। সেটাই আমি বিশ্বাস করি।

নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন জানিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকায় বেতন-ভাতা, জনগণের টাকায় কিন্তু সব। কাজেই সেই জনগণের সেবা করাটা কিন্তু আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা আমারও এবং আপনাদের সবার দায়িত্ব। কাজেই জনগণের পাশে থাকেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, তিনি এদেশের জনগণের সেবক। আমিও তাই মনে করি। প্রধানমন্ত্রীত্ব বড় কথা না, আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। কাজেই জনগণের সেবক হিসেবেই আমি নিজেকে মনে করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উদ্বৃত্ত করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদেরকে জনগণের খাদেম বলে বিবেচিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি, বিজয়ী জাতি আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। কেন মাথা নিচু করে চলব? সেই প্রত্যয় নিয়ে বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে সেই ব্যথা-বেদনা বুকে নিয়েও আমার একটাই লক্ষ্য, এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব।

সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান এবং ২৮ জন কর্মকর্তাকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়।

দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পলিসি এবং প্রশাসনিক পদ্ধতি পুনর্গঠন ক্যাটাগরিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং জনকল্যাণে গবেষণা ক্যাটাগরিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এমইউএম/এসআইএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।