ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাভারে জিনোম সিকুয়েন্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন  ১৯ দেশের প্রতিনিধিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
সাভারে জিনোম সিকুয়েন্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন  ১৯ দেশের প্রতিনিধিরা

সাভার (ঢাকা): প্রাণিসম্পদের জুনোটিক ও আন্তঃসীমান্তীয় রোগসমূহ প্রতিরোধ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে সাভারস্থ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশসহ ১৯টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নেক্সট জিনোম সিকুয়েন্সিং এর ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিএলআরআই’র প্রাণিস্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের  অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়৷ পাঁচ দিনের এই প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

 

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যের তিনজন প্রশিক্ষকের তত্ত্ববধানে ‘রেজিওনাল ট্রেনিং কোর্স অন নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং ইউসিং ইলুমিনিয়া প্লাটফর্ম কোর্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সটির যৌথ আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালাচার অগ্রানাইজেশন (এফএও)। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রাণিস্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।

এই প্রশিক্ষণে কাতার, ব্রুনেই, ওমান, জর্ডান, নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, শ্রীলংকা, ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৮টি দেশের ২৬ জন ও বাংলাদেশের ৪ জনসহ মোট ৩০ জন অংশ নিয়েছেন।  

এর আগে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক সিডিএম সাভারে প্রশিক্ষণটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএইএর টেকনিক্যাল অফিসার ড. ইভানচু এবং সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ সময় বিএলআরআই মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন আইএইএ এবং বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন এর আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মলিকুলার পর্যায়ের এই প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা হাতে কলমে স্যাম্পল প্রিপারেশন, জিনোমিক এক্সট্রাকশন, সিডিএনএ সিনথেসিসসহ ইলুমিনা নেক্সটসেক ২০০০ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে নমুনা বিশ্লেষণ করে জিনোমিক ডাটা তৈরি করতে সক্ষম হবেন। জিনোমিক ডাটা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জীনগত বৈশিষ্ট্যায়নের কৌশল আয়ত্ত করতে পারবেন। প্রশিক্ষণটি প্রাণিসম্পদের জুনোটিক ও আন্তঃসীমান্তীয় রোগসমূহ প্রতিরোধ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়:১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এসএফ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।