কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন আসিফ (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আসিফের ভাইও।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ৩টার সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বাক্স ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসিফ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কবিখালি খালপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আসিফ (২০) ও তার ভাই আকিব (২২) চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে তাদের চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে শুক্রবার দুপুরে তারা দুই ভাই বাড়িতে ফেরার পথে কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়কের আইলচারা বল্লভপুর বাক্স ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টের কবলে পড়ে তারা। পুলিশের সিগন্যাল দেওয়া সত্ত্বেও তাদের বহনকৃত মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় পালানোর চেষ্টা করে। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বিপরীত দিক থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় আসিফ ও তার ভাই আকিব গুরুতর আহত হন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ভাই আকিব।
প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, হালসা ক্যাম্প পুলিশ আইলচারা বাক্স ব্রিজের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করছিল। এসময় আসিফ চেকপোস্ট দেখে পালানোর চেষ্টা করছিল। পুলিশ তাদের পেছনে ধাওয়া দিলে পালানোর সময় দুর্ঘটনা কবলিত হয় আসিফ ও তার ভাই আকিব।
এ বিষয়ে চেকপোষ্টে দায়িত্বে থাকা হালসা ক্যাম্পের এএসআই শরীফুল জানান, নিহত আসিফকে ধাওয়া দেওয়া হয়নি। পালাতে গিয়ে তারা অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সংঘর্ষে দুর্ঘটনা কবলিত হন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, মিরপুর উপজেলার হালসা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। চেকপোস্ট দেখে পালানোর সময় তাদের বহনকৃত মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসএম