ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, চিকিৎসক কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, চিকিৎসক কারাগারে

বরগুনা: বরগুনার বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় করা জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি চিকিৎসককে সবুজ কুমার দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বামনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাসেল মজুমদার ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলার সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক সবুজ কুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে শনিবার রাতে বরগুনায় আনে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বশির আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিকিৎসক সবুজ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মসনি গ্রামের সনাতন দাসের ছেলে।

মামলার বাদী প্রসূতি বাবা মো. ছগির হোসেন বলেন, ডা. সবুজ দাস আমার সঙ্গে ২০ হাজার টাকায় অপারেশন করার চুক্তি করেন। আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ওই ক্লিনিকে ১৫ তারিখ আড়াইটায় আমার মেয়েকে ভর্তি করি। রাত ১১টায় আমার মেয়ের সন্তান পেটে রেখে সেলাই করে দিয়ে বলে রোগীর হার্টবিট বেড়ে গেছে। তাকে বরিশাল নিয়ে যান। আমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া পর্যন্ত গেলে আমার মেয়ে নড়েচড়ে না। পরে মঠবাড়িয়া উপজেলার ইসলামিয়া ক্লিনিকে নিয়ে এলে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। আমি সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানাই।

মামলা তদন্তকারী সংস্থার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আলম বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বামনায় একটি প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি প্রসূতি মেঘনার বাবা ছগির হোসেন বাদী হয়ে ডাক্তার সবুজ কুমার দাসকে প্রধান আসামি করে হাসপাতালের তিন মালিক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম এবং মাঈনউদ্দীন মঈনসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, গত ২০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-২ গ্রেপ্তার করে রোববার (২১ জানুয়ারি) বামনা থানায় হস্তান্তর করেন। পরে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

অন্যদিকে প্রধান আসামি সবুজ দাস দেশ থেকে ভারতে পালানোর সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে র‍্যাবের সহযোগিতায় বরগুনার ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।