ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ পেল ফরিদপুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
অবশেষে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ পেল ফরিদপুর

ফরিদপুর: দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর অবশেষে ফরিদপুরে স্টপেজ পেয়েছে চন্দনা কমিউটার ট্রেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রথমবারের মতো ফরিদপুর স্টেশনে থামে ট্রেনটি।

এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

ভোরে ফরিদপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে স্টেশনে থামে ট্রেনটি। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান তারা। এরপর সেখানে দুই মিনিট অবস্থান করে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

ট্রেনটির স্টপেজের দাবিতে আন্দোলনে থাকা মো. সেলিম মিয়া নামে এক তরুণ বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘ দুই মাসের আন্দোলনের ফসল। ট্রেনটি ফরিদপুরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনো স্টপেজ ছিল না। ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, তরুণ সমাজসহ ফরিদপুরবাসীর দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর আজ তা বাস্তবায়িত হলো। আমরা রেলমন্ত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষকে ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তরুণ সংগঠক আবরার নাদিম ইতু রেল সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজ আমাদের আন্দোলনের সফলতা পেয়েছি। এতে করে ফরিদপুরবাসী উপকৃত হবে। আমরা সকালে ঢাকায় অফিসও করতে পারব এবং প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সন্ধ্যায় আবার ফিরে আসতে পারবো।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সহকারী স্টেশন মাস্টার সুজাত আলী সরদার জানান, সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতিত ছয়দিন ট্রেনটি চলবে এবং ফরিদপুর স্টেশনে থামবে। এ বিষয়ে সোমবার (৮ জুলাই) রাতে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এখানে থেমেছে। ট্রেনটি প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ফরিদপুর স্টেশনে এসে পৌঁছাবে এবং দুই মিনিট অবস্থান করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

তবে, ফরিদপুর স্টেশন থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে এবং ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ টাকা। এছাড়া ভাঙ্গায় গিয়ে নাম পরিবর্তন হওয়ার কারণে নতুন করে টিকিট কেটে নিতে হবে। একইভাবে ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে আসবে এবং রাত ৮টায় ফরিদপুরে পৌঁছাবে।

গত ৪ মে মাদারীপুরের শিবচরে এক অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ‘চন্দনা কমিউটার’ ও ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ‘ভাঙ্গা এক্সপ্রেস’ নামে কমিউটার ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশন হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনো স্টপেজ না থাকায় মানববন্ধন, ট্রেন অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি কাফনের কাপড় পরে তারা ট্রেনটির গতিরোধ করেন। তাদের সেই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন ফরিদপুরের বিশিষ্টজনেরা। অবশেষে আজ সেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেল ফরিদপুরবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।