ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

যে কোনো অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম, আছি: মেয়র লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
যে কোনো অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম, আছি: মেয়র লিটন

রাজশাহী: জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যে-কোনো অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, এখনও আছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাদ জুম্মা রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদে সম্প্রতি ঢাকাসহ সারা দেশে কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর সব মসজিদে এই দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমরা শুরু থেকে লক্ষ্য রাখছিলাম। আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল, এটা হয়ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত হবে এবং কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেটা প্রমাণিত হতে শুরু করে। তখন থেকে আমরা সতর্ক হয়ে যাই এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা রাজপথে থাকি। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যাতে কেউ অরাজকতা করতে না পেরে সেজন্য আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা এতে সফল হয়েছি। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সিটি মেয়র বলেন, বিছিন্নভাবে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করা হয়নি, তা নয়। বিভিন্ন অলিগলি থেকে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলেন। আমরা মাঠে আছি, সেভাবে আমরা এ পর্যন্ত রাজশাহীকে নিরাপদ রেখেছি। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কারফিউ উঠে গেলে আরও স্বাভাবিক হবে।

এর আগে রাজশাহীর সাহেববাজার বড় মসজিদে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। জুম্মার নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহম্মেদ লিমন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, উপ-দপ্তর পঙ্কজ দে, সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, শামসুজ্জামান আওয়াল, আশরাফ উদ্দীন খান, হাফিজুর রহমান বাবু, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, মোখলেছুর রহমান কচি, মজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।