ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. হাফিজুর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্প থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
গ্রেপ্তার হাফিজুর সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে গোপালিয়া গ্রামের সাহিদ মাতুব্বরের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর ওই হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালথার গোপালীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ইয়ার আলীর ওপর হালমা চালান প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় ইয়ার আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরবর্তীতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে রাসেল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুরকে প্রধান আসামি করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪
এসআরএস