ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা নীলফামারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৫
কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা নীলফামারী

নীলফামারী: ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ নীলফামারী। এই জনপদে প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে, মাঘের জারে বাঘ কান্দে।

 বাঘ কাঁদে কি না তা না জানা গেলেও ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের প্রকোপে কাঁপছেন।

মাঘের হওয়া, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছেন। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। চরের মানুষগুলো পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

ভ্যান চালক আজগার আলী (৫৭) জানান, ঠান্ডাত আর পাইছি না। পেটের জ্বালায় রাস্তাত নামছি। ভাড়াও তেমন নাই। তাও সংসারের প্রয়োজনে ভ্যানটাক চালাবার লাগছে। পড়নত মোটা কাপড়ও নাই। কষ্ট হইলেও এই ঠান্ডাত গাড়ি চালাইছি ব্যাহে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সকাল ৬টায় নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ২০০ মিটার। দুপুর ১২টার আগে আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে। এতে করে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। দুপুর ১টার পর উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হতে পারে আকাশ খানিকটা উজ্জ্বল হলে।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগে বহির্বিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসা দিতে  হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।