শ্রমকল্যাণ ভবন ছয়টি রয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট, নারায়ণগঞ্জ সদর, গাইবান্ধা সদর, বগুড়া সদর, বাগেরহাট সদর ও খুলনার রুপসায়।
সূত্র জানায়, ছয়টি জীর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পুরনো শ্রমকল্যাণ ভবনের ঝুঁকি নিয়ে আলাদা আলাদা প্রতিবেদন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রম পরিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের কালুরঘাট শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি একতলা ভবন। নির্মাণকাল সঠিকভাবে বলতে পারেননি কেউ। পুরো ভবনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, শ্যাওলা পড়ে গেছে। অনেক সময় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ভবনের আশেপাশে নোংরা’।
১৯৬৩ সালে নির্মিত খুলনার রুপসা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১০ সালে থেকে কেন্দ্রটি নগরীর টুটপাড়া মেইন রোডের ভাড়া বাসায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রায় ১৬ কাঠা জমিতে নির্মিত বাগেরহাটের মংলা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। একতলা ভবনটির প্রবেশের রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের ভেতরে নোংরা, ছাদসহ অন্যান্য অবকাঠামো বিধ্বস্ত। ফলে এটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর, গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভাগীয় শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র ভবনের অবস্থাও একই।
শ্রম পরিদফতরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ছয়টি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে আমরা শ্রমিকদের সেবা দিতে ও শ্রম আইন বিষয়ে সচেতন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। দ্রুততম সময়ে ভবনগুলোর পুনর্নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে’।
‘প্রতিটি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, পাম্প হাউজ, ডিপ টিউবওয়েল, সাবমার্সিবল পাম্প, জেনারেটর, সোলার সিস্টেম ও ফায়ার প্রটেকশন সিস্টেম নির্মাণও জরুরি’।
জনবল, সাংগঠনিক কাঠামো ও দফতরগুলোর কার্যক্রম বিবেচনায় প্রতিটি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র দোতলা ভবনে রুপান্তর করা দরকার বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। বর্তমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রতিটি ফ্লোর দুই হাজার বর্গমিটার করতে হবে। ভৌত অবকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফার্নিচার, অফিস যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামও জরুরি।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা, নারায়ণগঞ্জ সদরের জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকা, গাইবান্ধার জন্য ১০ কোটি টাকা, বগুড়ার বিভাগীয় শ্রম পরিদফতরের জন্য সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা, বাগেরহাটের জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং খুলনার রুপসার জন্য ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে শ্রম পরিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর