অগ্নিকাণ্ডে শেষ সম্বল হারিয়ে আবারও নতুন আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে ডিএনসিসি মার্কেটে গিয়ে মিলেছে এমন চিত্র।
ডিএনসিসি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচামালের মার্কেট থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিস’র দোতলা মার্কেটের কেচি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। দোকানগুলো থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ধ্বসে যাওয়া কাঁচা বাজারের মার্কেট থেকে ধোঁয়া দূর করতে পানি দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
দোকানের পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে পরিষ্কার করছিলেন আমিনুল ইসলাম। মিতা প্লাজা নামে বেবিদের খেলনার একটি দোকান ছিলো তার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগুনে সব কাইড়া নিছে। কয়লা আর ছাই ছাড়া কিছুই নাই। আগুনে পথের ফকির বানাইয়া দিছে। ২৫ বছরের ব্যবসার ধ্বংস হইয়া গেছে।
তিনি বলেন, কী আর করা, কপালে থাকলে কিছু করার নাই। গোডাউনে কিছু মালামাল কেনা ছিলো তাই দিয়া আবারও নতুন কইরা দোকান সাজানোর চেষ্টা করছি।
আগুনে তার প্রায় ৮০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আমিনুল আরও জানান, পুড়ে যাওয়া দোকানের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আবারও ব্যবসা শুরু করতে পারছেন বলে ভালো লাগছে। এই দোকান দিয়ে আবারও ঘুরে দাড়াতে চান তিনি।
মার্কেটের একটি দোকানে সিরিষ কাগজ দিয়ে ঘাসা ও রঙ করার কাজ করছিলেন লাল মিয়া ও শামিম।
তারা বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সকাল থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন। একটি দোকানে কাজ করতে প্রায় তিন দিনেরও বেশি লেগে যেতে পারে।
কাঁচাবাজারে মার্কেটে ধোঁয়া দূর করতে পানি দিচ্ছিলেন গাজীপুর ফায়ার বিগ্রেডের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রফিকউজ্জামান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচা বাজারের ওই মার্কেটের অনেক দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকায় এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা ধোঁয়া দূর করতে কাজ করছি। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সময়ের ব্যাপার।
ডিএনসিসি মার্কেটের সহ-সভাপতি এস. এম. তালাল রেজবী বাংলানিউজকে বলেন, এই মার্কেটের দোকান সংখ্যা ২শ ৩৪টি। এর মধ্যে শুক্রবার প্রায় ৩৫টির মতো দোকান চালু করা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার থেকে প্রায় ৫০টি দোকানে ধোয়া-মোছা ও পুড়ে যাওয়া মালামাল সরানোর কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে দোকানগুলো চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের আর্থিক অনুদান পাননি। তবে মেয়র মহোদয় (আনিসুল হক) আমাদের অনেক বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছেন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরএটি/এসএনএস