ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হরিপুর সীমান্তে দু’বাংলার স্বজনদের মিলনমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
হরিপুর সীমান্তে দু’বাংলার স্বজনদের মিলনমেলা দুই পাড়ে স্বজনদের মিলনমেলা। ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও: স্বজনদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা। 

উপজেলার কোঁচল ও চাঁপাসার এবং ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট সীমান্তের কাঁটাতারের দুই পাড়ে জড়ো হয়েছে দুই বাংলার লাখো মানুষ।  

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হাজারো নারী-পুরুষ-শিশু ছুটে এসেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করার জন্য।

প্রতিবছর শ্রী শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পূঁজা উপলক্ষে বর্ষ পঞ্জিকা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ মেলা উদযাপন করে থাকেন। আর এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের এই দিনে দুই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে স্বজনরা ভিড় করেন সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬ নম্বর পিলার এলাকায়।  

এবারও সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে দুই দেশের স্বজনরা সীমান্তে সমবেত হতে থাকেন। স্বজনদের সঙ্গে একটু চোখের দেখা ও কথা বলার জন্য দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় দুই দেশের হাজারো মানুষকে। শেষ পর্যন্ত দুপুর স্বজনদের ধরে রাখতে পারেনি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কাঁটাতারের গেট না খুললেও অনানুষ্ঠানিকভাবেই দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখা ও কথা হয় একে অপরের সঙ্গে। আদান-প্রদান হয় নানা রকমের খাদ্য ও উপহার সামগ্রী।  

খাদ্য সামগ্রী ও উপহার আদান-প্রদান হচ্ছে।  ছবি: বাংলানিউজসৈয়দপুর থেকে আসা আমেনা বেগম বলেন, আমি আমার ছোট বোন শেফালির সঙ্গে দেখা করতে আসছি। ১৫ বছর পর বোনকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। শেফালি ভারতের মালদা জেলার চানমনি গ্রামে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাস করেন।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান বলেন, কড়া পাহারার মধ্যে দাঁড়িয়ে তারা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন ও খাদ্য বিনিময় করেছেন।

এ ব্যাপারে শ্রী শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পূঁজা কমিটির সভাপতি নগেন কুমার পাল বলেন, প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের এ পূঁজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।