মৌলভীবাজার: কয়েক মাস স্থবির থাকার পর শ্রীমঙ্গল উপজেলার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রি জমে উঠেছে। হাসি ফুটতে শুরু করেছে বিক্রেতার মুখে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল শহরের সাইফুর রহমান সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শীতের পোষাক ক্রয় করতে নারী-পুরুষসহ বৃদ্ধদের ভিড়। শ্রীমঙ্গলে সারাদেশের তুলনায় শীত বেশি হওয়ায় শীতের মৃদু বাতাস গায়ে লাগতেই ডিসেম্বরের শুরু থেকে জমে উঠেছে শীতের পোষাক বিক্রি।
তবে শীতে প্রাণঘাতী করোনা মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ (দ্বিতীয় ঢেউ) মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মাস্কের ব্যবহারের সর্বোচ্চ কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখানে নেই তার কোনো বাস্তব প্রতিফলন। অধিকাংশ ক্রেতার মুখেই নেই মাস্ক।
শীতের পোষাক মার্কেটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে দুই মাস দোকান বন্ধ ছিলো। ঈদে দোকান খোলা রাখা গেলেও বিক্রি হয়নি তেমন। শীত আসায় আমরা খুশি কারণ গত কয়েক মাসের ক্ষতি পুষিয়ে এবারের শীতে বিক্রি বাড়ায় লাভের আশা দেখছি আমরা।
তবে করোনা পরিস্থিতে শঙ্কাও রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তিনি বলেন, শঙ্কায় রয়েছি শীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে। সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে লোকজনের শহরে আসা কমে যাবে। ফলে আবারও ক্ষতির আশঙ্কা দেখছি আমরা।
মার্কেটে আসা কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, এবার আগে থেকেই শীত অনুভূত হওয়ায় আগে থেকে শীতের পোষাক না কিনলেও শীত বাড়ায় এখন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্যে শীতের কাপড় কিনছেন তারা।
মার্কেট ছাড়াও শীতের কাপড় বিক্রির হিড়িক পড়েছে পৌর শহরের ফুটপাতগুলোতে। নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে গরীব লোকে কিনছেন শীতের কাপড়। এতে খুশি ফুটপাতের শীতের পোষাক বিক্রেতারাও।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস ধরে মাস্কের ব্যাপারে জনসচেতনা তৈরির লক্ষ্যে আমরা অসংখ্য মানুষকে জরিমানাসহ মাস্ক উপহার দিয়ে এর গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আরো ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। আগামীতেও মাস্ক না পড়ার কারণে আমাদের স্থানীয় ভ্রাম্যমান আদালত আরও কঠোর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০
বিবিবি/এমকেআর