ঢাকা: বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী বেতন কমিশনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি।
সমিতির নেতারা বলছেন, স্বল্প আয়ের কর্মচারীরা কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত এবং পরিবার নিয়ে নিরুপায় দিশেহারা।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ্য ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় সমিতির মহাসচিব মো. ওবায়দুল হকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর করে। কিন্তু তৎপরবর্তীতে কয়েক দফা গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবা মুল্য বৃদ্ধি করা হয়। এমনকি জীবন রক্ষাকারি ওষুধসহ নিত্যপণ্যের সকল সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে স্বল্প আয়ের কর্মচারীরা কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত এবং পরিবার নিয়ে নিরুপায় দিশেহারা। এ অবস্থার উত্তরণে নতুন জাতীয় বেতন কমিশন গঠন এবং কর্মচারিদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বেতন কাঠামো, যা উচ্চতর-নিম্নতর পদের বেতন বৈষম্য কমিয়ে আনবে।
এসময় সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল ৯ দফা দাবি পেশ করেন। তার উথাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া, অবিলম্বে স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন, বৈষম্য নিরসনে অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারি, উচ্চমান সহকারি এবং সমপদের কর্মচারীদের সচিবালয়ের অনুরুপ দ্বিতীয় শ্রেণীর বেতন স্কেল প্রদান এবং পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
এছাড়া ১১-২০ গ্রেডের জনবলের বিদ্যমান বেতন বৈষম্য নিরসনকল্পে ও বেতন কাঠামো অধিকতর সুবিন্যস্ত করার লক্ষ্যে গ্রেড কমিয়ে ৫টিতে রুপান্তর করা, নন গেজেটেড কর্মচারীদের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রবর্তন ও একই পদ এবং কাজে ভিন্ন ভিন্ন স্কেল বাতিল করা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কর্মচারিদের তফসিলীভুক্ত করে ঝুঁকিভাতা দেওয়া এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এমআইএস/ওএফবি