ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কালাইয়ে জমির জন্য বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কালাইয়ে জমির জন্য বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার অভিযোগ

জয়পুরহাট: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আকবর আলী (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।  

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের আঁওড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।


 
জানা গেছে, ছোট ছেলে ও মেঝ ছেলের মধ্যে বসতবাড়ির জমির ভাগ কম-বেশি হওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে প্রায় মাস খানেক ধরে আকবর আলীর সঙ্গে তার ছোট ছেলে খাজের আলীর ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। রোববার ভোরে বাড়ির পাশের আয়েজ উদ্দিনের পুকুর পাড়ে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আকবর আলীর মরদেহ পাওয়া যায়। ছেলেরা সকাল থেকে প্রচার করেন যে তাদের বাবা আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  

এদিকে নিহত বৃদ্ধের বড় ছেলে আব্দুল গফুর বলেন, আমার বাবা এ বয়সে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তিনি নিজে ঠিকমত দাঁড়াতেও পারতেন না। তাহলে আত্মহত্যা করলেন কীভাবে? তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি থানায় মামলা করব।
 
প্রতিবেশীরা জানান, আকবর আলীর এক স্ত্রী, তিন ছেলে আর দুই মেয়ে। তার বসতবাড়ীতে আট শতাংশ জমি রয়েছে। কিছুদিন আগে ওই জমির মধ্যে তার ছোট ছেলে খাজের আলীকে তিন শতাংশ জমি দলিল মূলে লিখে দেন তিনি। আর মেঝ ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের সংসারে খেতেন বলে তাকে পাঁচ শতাংশ জমি দলিল মূলে লিখে দেন। বড় ছেলে আব্দুল গফুরকে কোনো জমি দেননি তিনি। তবুও তার কোনো ক্ষোভ নেই।

পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আকবর আলীর অনেক বয়স। তিনি কেন আত্মহত্যা করতে যাবেন। মহল্লার সবাই জানেন, জমির অংশ নিয়ে তার ছোট ছেলে খাজের আলীর সঙ্গে তার বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জেরে বৃদ্ধকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হতে পারে।
 
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।