ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুম-খুনের তদন্ত করার ক্ষমতা মানবাধিকার কমিশনের নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
গুম-খুনের তদন্ত করার ক্ষমতা মানবাধিকার কমিশনের নেই

পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কমিশনের মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান আইনে গুম-খুনের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে সরকারের কাছে প্রতিবেদন চাওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তদন্ত করার ক্ষমতা নেই। তাই আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। আইন সংশোধন প্রস্তাব জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হতে পারে।

আইন সংশোধন হলে জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে নাছিমা বেগম বলেন, করোনাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় একটি জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের ৬৪টি জেলার ডেপুটি কমিশনারকে মানবাধিকারসংক্রান্ত জেলাভিত্তিক কমিটি গঠনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি জেলা পর্যায়ে মানবাধিকার সংরক্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করবে। একইভাবে গুম-খুনের বিষয়ে কাজ করা যেতে পারে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান সুনির্দিষ্ট কিছু না জানালেও কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিকার কমিশন কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। তবে অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তেমনটি আছে কি না- তা দেখা হচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘কমিশন ঘুমিয়ে থাকে’-এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন কমিশন চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, পুলিশ সার্জেন্টের পিতাকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ সেই মামলা নিয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছে কমিশন। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় মালিক-ভাড়াটিয়া দ্বন্দ্বে বিদ্যুৎ-পানির সংকটে ছিল একটি পরিবার। কমিশনের উদ্যোগের ফলে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে খাদিজা নামের এক নারীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এনে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বেশ কিছু সাফল্যের কথা ধরেন তিনি।

কমিশন চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেন, আগের কমিশনের থেকে বর্তমান কমিশন কর্মে বেশি তৎপর। আইন মেনেই অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে এই কমিশন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।