ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩১, ৩০ জুলাই ২০২৪, ২৩ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

এবার রংপুরে ফেসবুক লাইভে যুবকের আত্মহত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এবার রংপুরে ফেসবুক লাইভে যুবকের আত্মহত্যা ইমরোজ হোসেন রনি।

রংপুর: এবার রংপুরের পীরগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বিষপান করে ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন তিনি।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রনি। এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেসবুক লাইভে বিষপান করেন তিনি।

রনি উপজেলার ৫ নম্বর ছাওলা ইউনিয়নের তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার একমাত্র সন্তান।

জানা গেছে, রনি ৪ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে। বিয়ের পর ওই দম্পতির এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে ছেলের বয়স দুই বছর।

কিছুদিন ধরে রনির কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণ-পোষণ দাবি করে আসছিলেন তার স্ত্রী। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না বলে গত বুধবার পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামে চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী সাথী। শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিকেলে ফেসবুক লাইভে আসেন রনি।

লাইভে রনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে না বলে তিন দিন আগে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী’।

এই বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এ সময় তার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।  

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, তার বউকে বাড়িতে আনতে না পারার অভিযোগ তুলে তিনি লাইভে বিষপান করেন। এতে স্ত্রীসহ অনেককেই দায়ী করেছেন।

মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, পারিবারিক কলহ থাকতেই পারে, তাই বলে আত্মহত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেনমোহর নিয়ে সমস্যা থাকলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।