ঢাকা: নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান পরিষদের মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান।
পরিষদের অন্য ৬টি দাবি হলো- ৯ম পে-স্কেল দেওয়ার আগ পর্যন্ত দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দান করা, সরকারি কর্মচারীদের আগের মতো ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করা এবং জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্রাচ্যুইটির হার টাকায় ১=২৩০ টাকার স্থলে ১=৪০০ টাকায় উন্নীত করা, এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরে সকল সরকারি কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেডসহ পদবী ও বেতন বৈষম্য দূর করা ও ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এছাড়া আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার-নির্যাতন মূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ প্রত্যাহার করতে হবে, ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে।
একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মতো সব দপ্তরে পোষ্য কোটা চালুর দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ মে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ে স্মারকলিপি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মো. মতিউর রহমান, উপদেষ্টা মো. মহিউদ্দিন, মো. বরকত খান, কার্যকরী সভাপতি আসকার ইবনে শায়েখ খাজা ও সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহীম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস