ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর কাজিচওড়া গ্রামে নিহত রবিউল ইসলামের শোকাহত পরিবারকে সান্তনা দিতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করলে নিরপেক্ষতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। সহকর্মী বা বন্ধু হিসেবে তদন্তে প্রভাব পড়তেই পারে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। তবে সঠিক তথ্য উঠে আসবে এবং প্রকৃত অপরাধিকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে।

জাপা চেয়ারম্যান স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা আমাকে ব্যথিত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান করা। অথচ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছেন কয়েকজন। দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে এটা করা ঠিক হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সাধারণ মানুষ বিচারের দাবিতে সড়কে নামতো না। ন্যায় বিচার পাওয়া মানুষের নাগরিক অধিকার।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু শুধু নিহতের পরিবারের নয়, সারা দেশের জন্য এটি অশুভ সংকেত বলে আখ্যায়িত করেন জিএম কাদের বলেন, নিহতের বিধবা স্ত্রীকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিতে হবে। স্থানীয় অনেক শুন্যপদ রয়েছে সেখানে তাকে চাকরির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি করছি। নিহত রবিউলের একমাত্র মেয়ে (৮ মাস) ভরন পোষণের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে দেওয়া হবে। এছাড়াও এ পরিবারকে আমার সাধ্যমত আমি সহায়তা করে যাবো।

এর আগে, জিএম কাদের লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের হেফাজতে মৃত রবিউল ইসলাম খানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। এরপর নিহতের কবর জিয়ারত করে চলে যান জিএম কাদের।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলা সন্দেহে রবিউল ইসলামকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরে সদর হাসপাতালে রবিউলের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের লাথিতে গোপনাঙ্গে আঘাত পান তিনি। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে টানা দুই দিন মহাসড়কের অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। ফলে অভিযুক্ত সদর থানার এসআই হালিমকে শুক্রবার দুপুরের দিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আতিকুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে সদর থানা পুলিশ এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। তবে খুব দ্রুত সময় আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।

>>> গোপনাঙ্গে লাথিতে যুবকের মৃত্যু, সেই এসআই ক্লোজড

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।