কুমিল্লা: কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শাশুড়ি বকা দেওয়ায় ক্ষোভে শিশু বাপ্পিকে হত্যা করেন সৎ বাবা রুবেল হোসেন সেলিম। সেলিম বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার রাতে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন। সেসময় তিনি জানিয়েছেন, তার সন্তানকে সৎ ছেলে বাপ্পি মাথায় চাপ দেয়। এই ঘটনায় তিনি বাপ্পিকে থাপ্পড় দিলে তার শাশুড়ি তাকে বকা দেন। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সকালে চকোলেট ও সাইকেল চালানোর প্রলোভনে বাপ্পিকে নানার বাড়ি সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাটপাড়া তারাপুর গ্রাম থেকে নিয়ে যান তিনি। তারপর গলায় দড়ি লাগিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ ধান ক্ষেতে লুকিয়ে রাখেন।
নিহত বাপ্পির নানা জালাল আহমেদ জানান, বাপ্পি আমার মেয়ের প্রথম সংসারের ছেলে। পরে চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ধনাজোড় গ্রামের রুবেল সেলিমের সঙ্গে মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সাতদিন আগে তাদের নতুন সংসারে একটি সন্তান জন্ম হয়। এরপর গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ হয় বাপ্পি। এ ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় নিখোঁজ জিডি করি। বাড়ির পাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমাদের সেলিমকে সন্দেহ হয়। কারণ বাপ্পির নিখোঁজ এবং সেলিমের আমাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়া একই সময়ে। এছাড়া তার আচরণও সন্দেহজনক ছিল। পরবর্তীতে সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে বাপ্পির সন্ধান দেয়। সেলিম জানায় অটোরিকশার ধাক্কায় বাপ্পি মারা গেছে। তাই তার মরদেহ ধান খেতে ফেলে রেখেছে। এরপর থেকে সেলিম পলাতক ছিল।
** দুদিন পর ফসলি জমিতে মিলল শিশুর মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০২২
আরএ