রাজশাহী: ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হয়েছে বুধবার। টানা ছয় দিনের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও খুলেছে অফিস-আদালত।
তবে শনিবারও (৭ মে) খোলেনি রাজশাহী মহানগরের হোটেল-রেস্তোরাঁ! তাই কর্মস্থলে যোগ দিয়ে তিন বেলার খাবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যাচেলর, মেসে ভাড়া থাকা শিক্ষার্থী ও পরিবার ছেড়ে থাকা চাকরিজীবীরা।
ঈদের ছুটি শেষেও তাই রাজশাহী শহরজুড়ে এখনও ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। পুরো মহানগরের জনবহুল হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর সামনের খাঁ খাঁ করছে।
রাজশাহী মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেলটি ঈদের আগের দিনই বন্ধ হয়েছে। এখনও খোলা হয়নি। হোটেলটি চালু হতে আরও একদিন সময় লাগবে। অপরদিকে শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান চত্বরে থাকা ডালাস রেস্তোরাঁটিও রয়েছে বন্ধ।
এ ছাড়া শহরের সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য জনপ্রিয় বিন্দু হোটেল এবং বিদ্যুৎ হোটেল শনিবার খুললেও পুরোদমে চালু হতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই হোটেল দুটিতে দুপুরে ধোয়া-মোছার কাজ চলতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হোটেলের বাবুর্চি, বয় ও শ্রমিকরা এখনও ছুটি কাটিয়ে ফেরেননি। এছাড়া শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই ঈদের ছুটিতে গিয়ে আর রাজশাহী ফেরেননি। তাই ক্ষতির কথা ভেবে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো এখনও খুলছেন না মালিকরা।
শনিবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায় রান্নার হাঁড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে থালা-বাসনেও ময়লা ধরে গেছে। হোটেল খুললেও এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজের ১/২ দিন সময় লাগবে। তবে সোমবার-মঙ্গলবারের মধ্যে এগুলো পুরোদমে খুলতে শুরু করবে।
রাজশাহীর বিন্দু হোটেলের ম্যানেজার মিঠু বলেন, প্রায় সপ্তাহখানেক বন্ধ থাকার ফলে হোটেলের অনেক কিছুই ময়লা হয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করে চালু করতে আরও ১/২ দিন সময় লাগবে। আমাদের অনেক কাস্টমার আজকে সকালে হোটেল খোলার পর থেকে ঘুরে যাচ্ছেন। আশা করছি, ১/২ দিনের মধ্যে চালু করতে পারবে।
এদিকে কেবল শহরে প্রধান সড়কে নয়, অলি-গলির খাবার হোটেলগুলোও বন্ধ। তবে নিউমার্কেট এবং সোনাদীঘির মোড়ের কয়েকটি বিরায়ানি হাউজ খোলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
এসএস/এমজেএফ