সুনামগঞ্জ: ত্রাণ সহায়তা পাননি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়নগর ও বড়বন গ্রামের বানবাসী মানুষেরা।
শুক্রবার (২০ মে) এই দুটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় চারিদিকে শুধু পানি আর পানি।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নান্দাইন হাওর অবস্থান রায়নগর বড়বন গ্রামের। অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন ওই দুই গ্রামে লোকজন।
সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ১৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বড়বন গ্রামের বাসিন্দা আলিমুন বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি। ঘরে বসে আছি। আমরা দিনমজুর। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকতেছি দেখতেই পাচ্ছেন। আগে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম সেগুলা দিয়ে কোনো রকম খেয়ে বেঁচে আছি। এদিকে চারিদিকে পানি থাকায় নৌকা ছাড়া বের হওয়া যায় না। নৌকা দিয়ে কোনো জায়গায় যেতে ৫০ টাকা থেকে টাকা ব্যয় হয়। কিভাবে চলবো কিছুই বুঝতেছি না।
সদর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা আপ্তাব আলী বাংলানিউজে বলেন, আমি একজন বর্গা চাষি অন্যর জমি ধান চাষ করি। এ বছর ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করে কয়েক কেদার জমি চাষ করি। মহাজন অর্ধেক ধান দিতে হয়েছে। আর বাকি যেগুলা পেয়েছিলাম সেই ধানগুলো এখনও শুকাতে পারি নাই। এমনিতেই পড়ে আছে দেখেন। আমরা সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। সরকার যদি এই মুহূর্তে আমাদের সাহায্য করে তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাইনি। যেগুলা পেয়েছিলাম সব বিতরণ করা হয়েছে। আরও ত্রাণ দরকার, পাওয়া মাত্রই আমরা বিতরণ করব। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ দিতে হয়। সেখানে ত্রাণ দিলে গ্রামের লোকদের ত্রাণ দিতে সমস্যা হয়।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ত্রাণগুলা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে দিয়ে দেয়া হয় তারাই মূলত ত্রাণ বিতরণ করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এনটি