ঢাকা: অফিস ব্যবস্থাপনায় উৎকর্ষতা, দর্শক সেবায় অসাধারণ সাফল্য, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুরাগ সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা সৃজনে অসাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য অর্জনের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আইএসও সনদ অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান কর্তৃক আইএসও সনদ সংস্থার মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় এবং জনসেবায় আমরা সর্বোচ্চ দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠায় কঠোরভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান জাদুঘর আইএসও সনদ প্রাপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ প্রায় দু’বছর বহুমুখী প্রশাসনিক সংস্কারমূলক কার্যক্রম, ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা এবং বহুমাত্রিক আধুনিকায়নের মাধ্যমে দর্শকবান্ধব অনন্য আবহ তৈরি ও শিক্ষার্থীবান্ধব নান্দনিক পরিবেশ তৈরির নিরবচ্ছিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের ‘আর অ্যান্ড জি’ কনসালটেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ‘এজেএ ইউরোপ লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠান আইএসও সার্টিফিকেট দেওয়ার যাবতীয় অডিট কাজ সম্পন্ন করে।
এ আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্ম তৎপরতা, দর্শক সেবার মান, আধুনিক বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ইত্যাদি যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মীদের এবং প্রতিটি স্তরে নিরবচ্ছিন্ন অডিট কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়। দীর্ঘ দুই বছরের পথ পরিক্রমার পর সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আইএসও সনদটি বিজ্ঞান জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যা ISO 9001:2015 নামে সমধিক পরিচিত। সরকারি দপ্তর হিসেবে বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবে বিজ্ঞান জাদুঘর সর্বপ্রথম আইএসও সনদ অর্জনের এ সৌভাগ্য লাভ করলো, যা বাংলাদেশের সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধ করার এক অনন্য মাইলফলক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এসএমএকে/আরবি