বরগুনা: বরগুনা টাউন হল চত্বর এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী সিরাজউদ্দিন মিলনায়তনের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সেই নির্মাণাধীন ভবনের মধ্যের দুই অংশে সপ্তাহে দুই দিন (শনিবার,মঙ্গলবার) বসেছে ছাগলের ও জালের হাট।
এ ব্যাপারে এক নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু মোবাইলফোনে বাংলানিউজকে বলেন, টাউন হল নতুন ভবনটি এখনও উদ্বোধন হয়নি। কিন্তু ভবনটিকে ঘিরে যেসব বাজার বসে এগুলো ঠিক নয়। আমি কমিশনার হিসেবে মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। খেলাঘর বরগুনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুশফিক আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, টাউন হল ভবনটি বরগুনার সাংস্কৃতিক চর্চার সূতিকাগার। সেখানে ছাগলের হাট বসানো দৃষ্টিকটু। পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন নিয়মবহির্ভূতভাবে টাউন হল ভবনটি নতুনভাবে ডিজাইন করে নির্মাণ শুরু করে গেছেন। যা সাংস্কৃতিক সংগঠন বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে ব্যবহার অনুপযোগী। এখন অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে। ভবনের পশ্চিম পাশের বারান্দায় বসেছে জালের হাট এবং ভবনের দক্ষিণ অংশে বারান্দায় প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার ছাগলের বাজার বসানো হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। বরগুনা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মুনির মোবাইলফোনে বাংলানিউজকে বলেন, নব নির্মিত টাউন হল ভবনটি সংস্কৃতিক শিল্পীদের জন্য নয়। আগের পরিত্যক্ত ভবনটি নির্মাণাধীন ভবনের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। ডিজাইন বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করে সরকারের টাকা খেসারত করছেন সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন। এই ডিজাইনের ভবনে কোনো ধরনের কার্যক্রম করা সম্ভব হবে না। সাংস্কৃতিককর্মীদের মতামত না নিয়ে ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। যা বরগুনার সংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাইসুল আলম রিপন বাংলানিউজকে বলেন, বরগুনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে টাউন হল নতুন ভবনটি এখনও নির্মা কাজ চলছে। সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেনে এটির ঠিকাদার। নির্মাণাধীন ভবন পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করলে আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এএটি