মাদারীপুর: আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করে।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। এর ফলে দু’টি নৌ বন্দর মংলা ও পায়রা বন্দর এবং স্থলবন্দর বেনাপোলকে ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে রেললাইনও যুক্ত হওয়ায় চিন্তাই করা যাবে না, কি ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে। পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। এর জনসভাও হবে ঐতিহাসিক।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মা পাড়ের আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জনসভা এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। উৎসবের এ সভায় জাতির উদ্দেশে, বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। এ উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জনসভাটি ঐতিহাসিক সভায় রূপ নেবে। এখানে ১০ লক্ষাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, জনসভা শেষে ফানুস ওড়ানো থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জমকালো অনুষ্ঠানসূচির আয়োজন করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্ব চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর। তাকে সহযোগিতা করবেন এমপি মির্জা আজম।
এক প্রশ্নের উত্তরে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ১৯৭৫ এর ঘাতকদের মতো খুন-সন্ত্রাস করে কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
এসআই