ঢাকা: রাজধানীর শ্যামপুরে স্বামীর ছোট ভাইয়ের (দেবর) ছুরিকাঘাতে নাজমা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত নাজমার আরেক দেবর নাসির আহমেদ সোহেল (৩০) ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার রিমা (২৫) আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামপুরের আইসি গেট এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, দেবরের ছুরিকাঘাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামীর নাম মৃত আবুল কাশেম সেলিম। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পরপরই দেবর আবুল কালাম আজাদ সেন্টুকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে জানা যায়, সকালে রান্নাঘরে নাস্তা তৈরি করছিলেন নাজমা আক্তার। এ সময় তার দেবর সেন্টু তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নাজমার আরেক দেবর নেছার আহমেদ জানান, পশ্চিম জুরাইনে তাদের নিজেদের বাড়ি। তারা যৌথ পরিবার নিয়ে থাকেন। গত ডিসেম্বরে নাজমার স্বামী (তার বড় ভাই) আবুল কাশেম সেলিম কিডনি রোগে ভুগে মারা যান। তার তিন সন্তান রয়েছে। সকালে তার ভাবি নাজমা ও ছোট ভাইয়ের বউ রিমা সকালে রান্নাঘরে নাস্তা তৈরি করছিলেন। এ সময় সেন্টু দা দিয়ে নাজমাকে কুপিয়ে আহত করেন। নাজমাকে বাঁচাতে গিয়ে রিমার বাম হাতে আঘাত লাগে। তাদের চিৎকার শুনে নাসির রান্নাঘরে গেলে তার হাতেও আঘাত করেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নাসির সেন্টুকে জাপটে ধরে ফেলেন।
নেছার আরও জানান, ঘাতক সেন্টু দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে দেশে এসেছেন। তাদের দুই বোনের পাশেই থাকেন। তারাই সম্পত্তির বিষয় নিয়ে সেন্টুকে কু-পরামর্শ দিতেন। সম্পত্তি এখনো তাদের বাবার নামে। সেন্টুকে বলা হয়েছে যখন ভাগ করা হবে তখন তারটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমার বোনদের প্ররোচনায় সেন্টু আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। এর আগেও ছোট ভাই নাসিরকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মৃত নাজমার বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় এক দম্পতি আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এজেডএস/এএটি