মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় মরিয়ম আক্তার (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মদিনাতুল মনোয়ারা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়ার (৩৪) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছে মৃত মরিয়মের স্বজন ও স্থানীয়রা।
মরিয়ম মহাকালী ইউনিয়নের উত্তর মহাকালী তেলেরপাড়া গ্রামের মোশারফ হাওলাদারের মেয়ে এবং ওই এলাকার মদিনাতুল মনোয়ারা মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার মরিয়ম আক্তারের মা মায়া বেগম তিনজনের নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়া, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি জামাল উদ্দিনের স্ত্রী হাবিবা আক্তার (২৭)। এরমধ্যে শনিবার (১১ জুন) সকালে ইউনুস মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মায়া বেগম বলেন, ‘ঘটনার দিন মেয়েটাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছি। কী হাসিখুশি ছিল ও! বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে মাদ্রাসার পরিচালক জামাল উদ্দিন আমাকে জানায় মরিয়ম অসুস্থ। বিকেল তিনটার পর আমাদের না জানিয়ে মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে যান মুফতি জামাল ও অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়া। পরে হাসপাতালে এসে জানতে পারি, মরিয়ম মারা গেছে। আমার মেয়েকে ইউনুস ও তাঁর স্ত্রী হত্যা করেছে। আমি তাঁদের বিচার চাই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনুস ও সোনিয়া আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আর ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা করেছেন জামাল উদ্দিনের স্ত্রী হাবিবা আক্তার। তাই তাকে আসামি করা হয়েছে। জামাল উদ্দিন যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত, তা পরে জানতে পেরেছি। তাই তাকেও আসামি করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। ’
জানা গেছে, অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়া মুফতি মাদ্রাসার পরিচালক জামাল উদ্দিনের ছোটবোনের জামাই।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুফতি জামালের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, মরিয়মকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, মরিয়মের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মামলা হওয়ার পর প্রধান আসামি ইউনুস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এনটি