ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এর আগে জেনারেটরের মাধ্যমে সেতুর সড়কবাতি জ্বালানো হয়।
সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে বাতি জ্বালানো হয়। এ নিয়ে গত ৭ দিনে পর্যায়ক্রমে ৪১৫টি বাতি জ্বালানোর মাধ্যমে স্ট্রিট লাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মাওয়া প্রান্তের পশ্চিম পাশের ভায়াডাক্ট থেকে মূল সেতু পর্যন্ত ২০৭টি লাইট পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানো হয়েছে। এ সময় লাইটের আলোতে পুরো এলাকা আলোকিত হয়। তবে সেতুর আর্কিটেকচারাল লাইট স্থাপন হবে উদ্বোধনের পর।
গত ৪ জুন প্রথমবারের মতো সেতুর ২৪ ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়। এরপর প্রতিদিনই বিভিন্ন মডিউলে এবং ভায়াডাক্টে লাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, রাত ছাড়াও ঘন কুয়াশায় বা আকাশ মেঘলা থাকার কারণে আলো স্বল্পতা দেখা দিলে লাইটগুলো অটো জ্বলে উঠবে।
সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি লাইট এবং একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব থাকছে সাড়ে ৩৭ মিটার। আর এসব লাইটঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বাতাসের গতিও সহ্য করতে পারবে। মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের সংযোগ সেতুতে ৮৭টি লাইট রয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সাধারণ এলইডি বাতির উজ্জ্বলতা ধিরে ধিরে কমে যায়। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা বাতিগুলোর উজ্জ্বলতা কমবে না। আর এগুলো টিকবে অন্তত ২০ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এফআর