সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চলতি বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ৪০০ পরিবারের প্রায় ৫২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য ১৪০ মেট্টিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো শিগগিরই বিতরণ করা হবে। এছাড়া মজুদ রয়েছে ৭৭১ মেট্টিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির পাট, তীল, সবজি, বোনা আমন, রোপা আমনের বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন মরিচ নষ্ট হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিরাজগঞ্জ কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, টানা দুই সপ্তাহ পর যমুনার পানি স্থিতিশীল হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে (বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার)। গত মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যার দিকেও পানির সমতল একই ছিল।
অন্যদিকে, কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে বুধবার সকালে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটর বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ২৫ মিটার)।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে যমুনা নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা চলছে। তবে সেটা স্বাভাবিক বন্যা। যমুনা অধ্যুষিত এ জেলাতে প্রতি বছরই এমন বন্যা হয়ে থাকে। নদীর অভ্যন্তরীণ নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়। এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এসআরএস