ঢাকা : ঘাটতি সমন্বয়ের নামে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে সরকার বিষ গিলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ঘাটতি সমন্বয়ের নামে আইএমএফ’র শর্ত মানার মধ্য দিয়ে সরকার বিষ গিললো। এই বিষ এখন অর্থনীতির দেহে ছাড়িয়ে রাজনীতি ও সমাজে বিস্তৃত হবে। আইএমএফ যেসব দেশে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, সেসব দেশেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা স্বীকার করেও যে কথাটি বলা প্রয়োজন, তা হলো এ সংকটের দায়ভার সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া যায় না। জ্বালানি ক্ষেত্রে গত দুই দশকে যে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে তা এখনও অব্যাহত আছে। সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই সংকট এড়ানো যেত।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, জনগণ ধৈর্য ধারণ করেছে বলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি জনিত সংকট নিয়ে কিছু করতে পারছে না। কিন্তু মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যক্তির লোভের ফলে অর্থনীতির যে দশা হতে চলেছে তাতে জনগণের ধৈর্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপরেও গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
পরে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে দলীয় নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়ে মিছিল করে। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে থামে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতারা।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসাইন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়।
এ সময় বক্তব্য দেন কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু ও তৌহিদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন রাজু, মোস্তফা আলমগীর রতন, মহানগর নেতা বেনজীর আহমেদ, শাহানা ফেরদৌসি লাকী, মুর্শিদা আখতার, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, রফিকুল ইসলাম সুজন, আনোয়ারুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৮ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট, ২০২২
আরকেআর/এমজে