নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মো. মামুন হোসেনকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামুন গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর মামুনের স্ত্রী নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ওই শিক্ষিকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক মামুনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরিবারের কেউ অভিযোগ দিলে কিংবা মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষিকার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে প্রমাণিত হয় শ্বাস রোধ করে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনে সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত শুরু করেছেন।
>> অসম প্রেমের করুণ সমাপ্তি!
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এসআরএস