চুয়াডাঙ্গা: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রামের মাঠের একটি গাছের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরিকুল ইসলাম তিয়রবিলা গ্রামের কুঠিপাড়ার শাহজাহান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাস খানেক আগে তরিকুল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শম্ভুনগর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাস পরেই নববধূ তরিকুলের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়ায় তিনি অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে তরিকুল নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গত সপ্তাহে স্ত্রীকে আনতে আবারও শ্বশুরবাড়ি যান। এ সময় নববধূ তরিকুলের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এতে ভীষন মনোকষ্ট নিয়ে তরিকুল বাড়ি ফিরে আসেন। গত বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বাড়ি ফিরেই তিনি নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শুক্রবার বিকেলে তিয়রবিলার মাঠের একটি ছোট বাগানের মধ্যে তরিকুলের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ পড়ে থাকতে দেখেন কৃষকরা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবারের কোনো এক সময়ে তরিকুল মাঠের ওই বাগানে পাটের আঁশ গলায় পেঁচিয়ে তেতুল গাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বাগানটিতে লোকজনের যাতায়ত না থাকায় তিনদিন ধরে সেটি কারো চোখে পড়েনি। পরে শুক্রবার বিকেলে মাঠের কৃষকরা তরিকুলের লাশ গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাঠ থেকে পাটের আঁশ সংগ্রহ করে গলায় পেঁচিয়ে তরিকুল গাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিন দিনের মধ্যে সেই আঁশ ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, তরিকুল বৈবাহিক জীবনে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
এফআর